প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি (Private Limited Company)

১৯৯৪ সালের কোম্পানী আইন অনুযায়ী প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানীর ক্ষেত্রে সর্বনিন্ম ২ জন এবং সর্বোচ্চ ৫০ জন অংশীদার বা পার্টনার প্রয়োজন হয় অপরদিকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানীর ক্ষেত্রে সর্বনিন্ম ৭ জন এবং সর্বোচ্চ যেকোন সংখ্যার পার্টনার হতে পারে।

একটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি গঠনের ক্ষেত্রে খরচের বিষয়টি নির্ভর হবে কোম্পানি অথরাইজড ক্যাপিটাল কত হবে তার উপর। অথরাইজড ক্যাপিটালের উপর ভিত্তি করে সরকারী তথা RJSC ফি নির্ধারণ হয়। একটা বিষয় মনে রাখা দরকার, অথরাইজড ক্যাপিটাল আর পেইড-আপ ক্যাপিটাল দুটো ভিন্ন বিষয়। অথোরাইজ ক্যাপিটাল হচ্ছে কোম্পানির (অনুমোদিত মূলধন-বর্তমান ইনভেস্ট + ফিউচার ইনভেস্ট) আর পেইড-আপ ক্যাপিটাল হচ্ছে (পরিশোধিত মূলধন – যা কোম্পানির বর্তমান ইনভেস্ট )

বুঝার জন্য বলতেছিঃ  অথরাইজড ক্যাপিটাল হচ্ছে আপনি এই কোম্পানির জন্য সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা শেয়ার ইস্যু করত পারবেন। আর পেইড-আপ ক্যাপিটাল হচ্ছে শেয়ার হোন্ডারগণ এই মুহূর্তে কত টাকা শেয়ার গ্রহণ করেছেন। যেমন আমি কোম্পানির এমডি, আমি ২ লাখ টাকার শেয়ার গ্রহণ করলাম, আপনি কোম্পানির চেয়ারম্যান, আপনি দুই বা তিন লাখ টাকার শেয়ার গ্রহণ করেছেন। এভাবে সর্ব মোট ১ কোটি টাকা পর্যন্ত শেয়ার গ্রহণ করা যাবে। আমি বা আপনি তথা শেয়ার হোল্ডারগণ যে পেইড-আপের শেয়ার গ্রহণ সেই টাকাই কোম্পানির ব্যাংক একাউন্টে পরবর্তীতে ট্রান্সফার দিতে হবে। সুতরাং পেইড-আপ ক্যাপিটাল যা হোক না কেন অথরাইজড ক্যাপিটাল বেশী হলে ভালো। তাহলে পরবর্তীতে নতুন নতুন শেয়ার হোল্ডারের নিকট শেয়ার বিক্রি করা যায়।

কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন করার আগেই  কিছু প্রশ্নের উত্তর জেনে রাখা ভালো?

প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি কি?

কিছু ব্যক্তি যখন ব্যক্তিগত ভাবে বা প্রাইভেটলি কোন কোম্পানি গঠন করেন তখন তাকে বলা হয় প্রাইভেট কোম্পানি। উল্লেখ্য যে চাইলেই যে কেই নিজের ইচ্ছামত এই কোম্পানির অংশীদার হতে পারে না যদি না মূল অংশীদাররা নতুনদের যুক্ত করতে অনুমোদন দেয়।

আর লিমিটেড কথাটি এসেছে শেয়ার লিমিট ও শেয়ার হোল্ডার / অংশীদার লিমিট থেকে, একটি লিমিটেড কোম্পানিতে কত টাকা বিনিয়োগ করা যাবে তা আগেই অথরাইজড ক্যাপিটালে মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয় বা লিমিট করা হয়। সেই লিমিটের বাইরে কোন লিমিটেড কোম্পানি শেয়ার বিক্রি করতে পারবে না।

আবার লিমিটেড কোম্পানিতে যারা অংশীদার থাকেন তাদের লাভ ও দায় তাদের শেয়ারের অনুপাতে তাদের উপর বর্তায় তাই এটাকে বলে লিমিটেড লায়াবেলিটি, এখানেও একটা লিমিট আছে। তাছাড়া একটি প্রাইভেট বা লিমিটেড কোম্পানিতে ২-৫০ জন পর্যন্ত শেয়ার হোল্ডার বা অংশীদার রাখা যায় যেটাও লিমিটেড।

কোম্পানির কিছু টার্মস (শব্দ) ও অর্থ

অংশীদার / শেয়ার হোল্ডার: যারা একটি কোম্পানিতে অংশীদার হবেন, অর্থাৎ টাকা দিয়ে কোম্পানির মালিক হবেন তারা হচ্ছেন অংশীদার বা শেয়ার হোল্ডার। এই অংশীদাররা তাদের অংশের অনুপাতে লাভ নিয়ে থাকবেন। প্রাইভেট কোম্পানিতে এই অংশীদারদের সংখ্যা ২-৫০ জন পর্যন্ত হতে পারে।

ডিরেক্টর : সাধারণত অংশীদারদের একটা ক্ষুদ্র অংশ, ২-৫০ জন ডিরেক্টর হিসাবে কাজ করেন। এরা বার্ষিক সাধারণ সভাতে উপস্থিত থাকেন, কোম্পানির হয়ে কোম্পানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন

বোর্ড অব ডিরেক্টরস: কয়েকজন ডিরেক্টর মিলে, সাধারণত ২-১০ জন একটি বোর্ড অব ডিরেক্টরস তৈরি করে যারা কোম্পানি পরিচালনা করেন।

ম্যানেজিং ডিরেক্টর: সাধারণ অংশীদার বা মালিকদের মধ্য থেকে একজন [সাধারণত যার শেয়ার বেশি থাকে তিনি] ম্যানেজিং ডিরেক্টর হয়ে থাকেন। সাধারণত ম্যানেজিং ডিরেক্টর একটা কোম্পানির সকল সিদ্ধান্ত নেন। একজন ম্যানেজিং ডিরেক্টরের কোম্পানি যে কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার সকল ক্ষমতা থাকে এইটা আসলে নির্ভর করবে কোম্পানির আর্টিকেলে ম্যানেজিং ডিরেক্টরকে কোম্পানির পাওয়ার দেওয়া আছে কিনা তার উপরে।

চেয়ারম্যান: অংশীদারদের মধ্য থেকে একজন চেয়ারম্যান হন। চেয়ারম্যান মূলত কোম্পানির মিটিংগুলোতে সভাপতিত্ব করেন ও প্রয়োজনে মিটিঙের সিদ্ধান্তে ভোট প্রদান করেন।

পেইড আপ ক্যাপিটাল: কোন কোম্পানি যত টাকা দিয়ে শুরু হবে ( কোম্পানির বর্তমান ইনভেস্ট বা বর্তমান ভ্যালু) সেটা হচ্ছে সেই কোম্পানির পেইড আপ ক্যাপিটাল।

অথরাইর্জড ক্যাপিটাল: কোন কোম্পানি কত টাকা বর্তমান এবং ভবিষ্যতে বিনিয়োগ করতে চায় বা নিতে চায় সেটা হচ্ছে অথরাইজড ক্যাপিটাল।

মেমরেন্ডাম অব এসোসিয়েশন: এটি একটি দলিল, এই দলিলে একটি কোম্পানি কি কাজ করবে তা উল্লেখ থাকে।

আর্টিকেল অব এসোসিয়েশন : এটি একটি দলিল, এই দলিলে একটি কোম্পানি কিভাবে কাজ করবে তা উল্লেখ থাকে।

অথরাইজড ক্যাপিটাল Authorized Capital কি?

একটি কোম্পানী শুরুর সময় ঐ কোম্পানীর সর্বোচ্চ মূলধনের যে সীমা নির্ধারন করা হয় বা অনুমোদন করা হয় সেটাই হল ঐ কোম্পানির অথরাইজড ক্যাপিটাল:

মনে করুন, আপনার কোম্পানীর অথরাইজড ক্যাপিটাল ১০০ টাকা, এবং পার্টনার ১০ জন, তাহলে ১০ টাকা করে দশ জনের ভেতর সর্বোচ্চ ১০ টি শেয়ার বন্টন করা যাবে। এর বেশী শেয়ার বন্টন করা যাবে না। বেশী করতে চাইলে অথরাইজড ক্যাপিটাল আবার সংশোধন করে বাড়িয়ে নিতে হবে।

পেইড-আপ ক্যাপিটাল Paid-up Capital কি?

পরিশোধিত মূলধন বা পেইড-আপ ক্যাপিটাল হল অনুমোদিত ( পরিশোধিত মূলধন – বর্তমান ইনভেস্ট ) বা অথরাইজড ক্যাপিটাল সীমার মধ্যে একটা এমাউন্ট যা কোম্পানীর ব্যাংক একাউন্টে জমা শুরতে জমা দিতে হবে। 

বাংলাদেশে একটা কোম্পানী নিবন্ধনের ক্ষেত্রে নূন্যতম ২ টাকা পেইড-আপ ক্যাপিটাল থাকা দরকার হয়।

 

মনে করুন, ১০০ টাকা অথরাইজড ক্যাপিটালের মধ্যে ১০ জন শেয়ার হোল্ডার মিলে  ৫০ টাকার শেয়ার ধারন করেছে যাকে  পেইড-আপ ক্যাপিটাল বলে। এই ৫০ টাকা কোম্পানীর ব্যাংক একাউন্টে জমা দিতে হবে।  এই টাকা পরে ব্যাবসায়ীক প্রয়োজনে যে কোন সময় উত্তোলন ও খরচ করা যায়।

Memorandum of Article (MOA) বা সংঘ স্মারক কি?

লিমিটেড কোম্পানির মেমোরেন্ডাম হল কোম্পানির নিবন্ধনী নাম, লক্ষ্য এবং ব্যবসা পরিচালনার প্রকার সম্পর্কে সংক্ষেপে তথ্য সারমর্ম করা হয়ে থাকে। মেমোরেন্ডাম একটি বৈধকর দলিল হিসেবে কাজ করে, যা কোম্পানির ব্যবসায়িক ধারাবাহিকতা, শেয়ার ডিলিংস, ওয়ান্টেড লিমিটেশন এবং অন্যান্য বিশেষ শর্তাবলীগুলি সংজ্ঞায়িত করে।

লিমিটেড কোম্পানির মেমোরেন্ডামে সাধারণত নিম্নলিখিত তথ্য অন্তর্ভুক্ত থাকে:

  • কোম্পানির নাম: মেমোরেন্ডামে কোম্পানির সঠিক নাম এবং সংক্ষেপে বর্ণিত হয়।
  • লক্ষ্য: কোম্পানির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের বিবরণ। এটি কোম্পানির ব্যবসায়িক প্রকার এবং ধারাবাহিকতার উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়।
  • কোম্পানির শেয়ার ডিলিংস: কোম্পানির নির্দিষ্ট প্রকারের শেয়ার কতগুলি হিসেবে উপলব্ধ থাকবে এবং কীভাবে এগুলি বিতরণ করা হবে তা নির্ধারণ করা হয়।
  • ওয়ান্টেড লিমিটেশন: কোম্পানির কর্তৃক নিষ্কৃতি প্রদানের শর্ত সম্পর্কে মেমোরেন্ডামে বর্ণিত হয়।
  • অন্যান্য শর্তাবলী: আরও যে কোনও বিশেষ শর্তাবলী বা নির্দিষ্টকরণ যদি থাকে তা অন্তর্ভুক্ত থাকে।

এই মেমোরেন্ডাম অক্সীজেনের মতো কোম্পানির বাস্তবায়নের জন্য প্রাথমিক অংশ হিসাবে কাজ করে, কোম্পানির ব্যবসায়িক ব্যবস্থাপনা এবং আইনি মামলার সুরক্ষা সংজ্ঞায়িত করে।

Article of Association (AOA) বা সংঘবিধি কি?

লিমিটেড কোম্পানির আর্টিকেল, অথবা আর্টিকেল অফ এসোসিয়েশন, হল কোম্পানির নিবন্ধনী নামের সাথে একটি অফিসিয়াল ডকুমেন্ট যা কোম্পানির নিয়ম ও শর্তাবলী নির্ধারণ করে। এই ডকুমেন্ট কোম্পানির নিয়ম, শর্তাবলী, ব্যবসায়িক কার্যক্রম, শেয়ারধারীদের অধিকার এবং কর্মচারীদের দায়িত্ব নির্ধারণ করে।
লিমিটেড কোম্পানির আর্টিকেল সাধারণত নিম্নলিখিত তথ্য অন্তর্ভুক্ত করে:
1) কোম্পানির নাম: সঠিক এবং নিবন্ধনী নাম যা কোম্পানি ব্যবহার করবে।
2) কোম্পানির শ্রেণী: কোম্পানির ধরণ বা শ্রেণী, যেমন প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি , পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি, ইত্যাদি।
3) শেয়ার ডিলিংস: কোম্পানির শেয়ার প্রকার এবং সংখ্যা, সম্পদ বিতরণের নিয়মাবলী এবং অন্যান্য শেয়ারধারীদের অধিকার নির্ধারণ করা।
4) কোম্পানির নির্দিষ্ট কার্যক্রম এবং উদ্দেশ্য: কোম্পানির প্রধান উদ্দেশ্য এবং কার্যক্রমের বিস্তারিত বর্ণনা।
5) ব্যবসায়িক গঠন: কোম্পানির নেতৃত্ব, পরিচালনা পরিষদ, কর্মচারীদের ভূমিকা এবং কোম্পানির প্রধান অধিকারীদের দায়িত্ব নির্ধারণ।
6) আপীল এবং দায়িত্ব: শেয়ারধারীদের অধিকার এবং দায়িত্ব নির্ধারণ করা।

এই সব তথ্য কোম্পানির ভবিষ্যতের কার্যক্রমের দিকে নির্দেশ দেয় এবং অধিকারীদের মধ্যে স্পষ্টতা ও সুস্থতা সংরক্ষণ করে।

নামের ছাড়পত্রের সাধারণ শর্তাবলী:
১. একই নাম হতে পারবে না, অর্থাৎ উচ্চারণ ও লেখার ক্ষেত্রে শুনতে ও দেখতে একই রকম মনে হয় এমন নাম হবে না।
২. আন্তর্জাতিক কোন কোম্পানি, প্রতিষ্ঠান বা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থার নামের অনুরূপ কোন নাম হবে না।
৩. দেশে দীর্ঘদিন যাবৎ চালু আছে এমন কোন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, বিনোদন বা ক্রীড়া সংগঠনের নামের অনুরূপ কোন নাম হবে না।
৪. সরকারের অন্য কোন সংস্থায় নিবন্ধিত কোন প্রতিষ্ঠানের নামের অনুরূপ কোন নাম হবে না।
৫. জাতীয় পর্যায়ে বিখ্যাত বা খ্যাতি সম্পন্ন ব্যক্তির নাম সহ কোন নামের ক্ষেত্রে বিশিষ্ট ব্যক্তি পরিবারের সদস্যদের অনুমতি এবং সরকারের অনুমোদন আবশ্যক হবে। |
৬. মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক কোন নামের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুমতি আবশ্যক হবে।
৭. সরকারি কোন কর্মসূচি বা সংস্থার নামের অনুরূপ কোন নাম হবে না।
৮. বিদ্যমান রাজনৈতিক দলের নামের অনুরূপ বা রাজনৈতিক কোন স্লোগান বা কর্মকুঁচির নামের অনুরূপ কোন নাম হবে না।
৯. অশ্লীল, গালি বা ব্যঙ্গাত্মক শব্দ বিশিষ্ট কোন নাম হবে না।
১০. জাতি, ধর্ম অথবা সামাজিক সংঘাত সৃষ্টি করতে পারে এমন কোন নাম হবে না।
১১. পূর্ব হতে প্রতিষ্ঠিত (অন্ততপক্ষে ১০ বছরের পুরাতন) সামাজিক প্রতিষ্ঠান তার মূল নামে নিবন্ধন করতে চাইলে সাংগঠনিক কমিটির রেজুলেশন নামের ছাড়পত্রের জন্য ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়ে আবেদন করবেন।
১২. সামাজিক, সাংস্কৃতিক বা ক্রীড়া সংগঠনকে কোম্পানি হিসাবে নিবন্ধনের ছাড়পত্রের জন্য মন্ত্রণালয়ের পূর্বানুমতি আবশ্যক হবে।
১৩, নামের ছাড়পত্রের বর্ণিত শর্তাবলীর কোন একটি ভঙ্গ হলে আরজেএসসি কর্তৃপক্ষ গৃহীত নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত দিতে পারবে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নাম পরিবর্তন না করা হলে নিবন্ধন নাম্বার দিয়ে আপত্তিকৃত নামটি প্রতিস্থাপন করা হবে অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানটি তার নিবন্ধন নাম্বার দিয়ে পরিচিত হবে।
১৪. শুধুমাত্র নামের ছাড়পত্র নিবন্ধনের জন্য চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে না।
Company Registration শেষে কি কি ডকুমেন্ট পাবেন?

আপনার কোম্পানিটি নিবন্ধিত হয়ে গেলে আপনি একে একে তিনটি দলিল পাবেন। দলিল তিনটি হচ্ছে।

  1. Certificate of Incorporation
  2. Certified copy of Article of Association (AOA) and Memorandum of Association (MOA)
  3. Form XII
Company Director বা পরিচালক কে?
প্রতিটি কোম্পানির পরিচালকের সংখ্যা কমপক্ষে দুজন (আবাসিক কিংবা অনাবাসিক) হতে হবে এবং পরিচালকবৃন্দের পদবী এবং শেয়ারের সংখ্যা স্পষ্টভাবে কোম্পানির সংঘবিধিসমুহে (Articles of Association) উল্লেখ থাকতে হবে। এর সাথে লক্ষ্য রাখতে হবে ১৮ বছরের কম কিংবা দেউলিয়া কিংবা কোনোরূপ আর্থিক অপরাধমূলক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকা প্রমাণিত হলে পরিচালকগণ অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
Company Share Holder বা অংশীদারগণ কে?
একটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির অংশীদারের সংখ্যা হতে পারে সর্বনিম্ন ২ জন হতে সর্বোচ্চ ৫০ জন। পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির জন্য এ সংখ্যা হবে সর্বনিম্ন ৭ জন এবং এর বেশী। কোন কোম্পানির অংশীদার কোন ব্যাক্তি ও হতে পারেন কিংবা অন্য কোন একটি কোম্পানিও হতে পারে এবং কোম্পানির পরিচালকগণও কোম্পানির অংশীদার হতে পারেন।
নিবন্ধনের ঠিকানা
কোম্পানি নিবন্ধনের জন্য অবশ্যই একটি প্রাসঙ্গিক ঠিকানা (আবাসিক কিংবা বাণিজ্যিক) প্রদান করতে হবে যা কোম্পানির নিবন্ধিত ঠিকানা বলে বিবেচিত হবে।
কোম্পানির রেজিঃ করার পরেও কি ট্রেড লাইসেন্স করতে হবে?

জি কোম্পানি রেজিঃ করার পরেও ট্রেড লাইসেন্স করতে হয়, কারন ট্রেড লাইসেন্স কোম্পানির বিভিন্ন কাজে লোকেশন ভেরিফাই এর জন্য লাগে।

কোম্পানিরে রেজিঃ হবার কত দিন পরে অডিট রিপোর্ট করতে হবে?

১৬-১৮ মাসের ভিতরে প্রথম অডিট করতে লাগে এবং পর্বতী অডিট ১৫ মাসের ভিতরে।

কোম্পানি রেজিঃ এর ক্ষেত্রে সময় কেমন লাগবে?

আমাদের ফাইল রেডি করতে সময় লাগে একদিন এবং সরকারি ফি জমার পরে ৩ কর্মদিবস সময় লাগবে।

সরকারি ফি কি ভাবে জমা কতে হবে?

ফাইল সাবমিট হবার পরে ব্যাংকে জমা করতে পারবেন অথবা বর্তমান বিকাশ এবং নগদ থেকেও সরকারি ফি জমা করা যায়।

লিমিটেড কোম্পানির লাইসেন্স এর কিছু সুবিধা সম্পর্কে জেনে নেই

লিমিটেড কোম্পানির সুবিধা সমূহ...

১) কোম্পানির বৃহদায়তন উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করা যায় ।
২) কোম্পানির প্রতি জনগণের আস্থা বেশি থাকে ।
৩) কোম্পানির চিরন্তন অস্তিত্ব থাকে ।
৪) লিমিটেড কোম্পানির মাধ্যমে আপনি খুব সহজে দেশের সকল জায়গায় আপনার প্রতিষ্ঠানের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন ।
৫) এছাড়া বিনিয়োগকারী পেয়ে যাবেন খুব সহজে, যদি আপনার লিমিটেড কোম্পানির লাইসেন্স থেকে থাকে।

৬) ব্যাংক লোণ পেতে, প্রোজেক্ট লোণ পেতে, সামাজিক মর্যাদার ক্ষেত্রে, সাপ্লাই বা টেন্ডার আবেদনে সুবিধা, ব্যক্তি বা অন্যান্য কোম্পানি থেকে বিনিয়োগ পেতে সুবিধা, আন্তর্জাতিক পরিচয়ের ক্ষেত্রে, দেশব্যপি সম্মানের সাথে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে ইত্যাদি।

৭) বিনিয়োগকারীরাও আপনার কোম্পানিতে বা প্রতিষ্ঠানে অর্থ প্রদান করতে উৎসাহিত হবে। এতে আপনি খুব সহজেই আপনার ব্যবসা বৃদ্ধি করে, ব্যবসার মাধ্যমে অধিক লভ্যাংশ এবং ব্যবসাকে বড় করে বৃদ্ধি করে পরিবর্তন করতে পারবেন দেশের আর্থ সামাজিক অবস্থারও ।

৮) ভবিষ্যতের ঝামেলা এড়াতে কোম্পানির ডিরেক্টরদের নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র, কর সংক্রান্ত তথ্যাদি, কোম্পানির ঠিকানা ইত্যাদি সতর্কতার সাথে লিপিবদ্ধ করতে হবে।

৯) যদি কখনো কোম্পানির শেয়ার ট্রান্সফার কিংবা কোম্পানি অবসায়নের প্রয়োজন হয়, তবে তা যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সম্পন্ন করবেন।

প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি গঠন করতে খরচ কত হবে?

কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন এর জন্য খরচ কত পড়বে?

RJSC থেকে লিমিটেড কোম্পানি (LTD) গঠন করতে আপনার অথোরাইজড কেপিটালের উপর কোম্পানী নিবন্ধন ফি নির্ভর করে।

সরকারি ফি + আমাদের সার্ভিস চার্জ + স্পিড মানি + ১৫% ভ্যাট, সব মিলিয়ে অথোরাইজ ক্যাপিটালের উপরে নির্ভর করে বিভিন্ন প্যাকেজ আকারে সেট করা আছে ।

উথোরাইজ ক্যাপিটাল ১০ লক্ষ হলে : সব খরচ সহ ২৬০০০/-
উথোরাইজ ক্যাপিটাল ২০ লক্ষ হলে : সব খরচ সহ ২৮০০০/-
উথোরাইজ ক্যাপিটাল ৩০ লক্ষ হলে : সব খরচ সহ ৩০০০০/-
উথোরাইজ ক্যাপিটাল ৪০ লক্ষ হলে : সব খরচ সহ ৩২০০০/-
উথোরাইজ ক্যাপিটাল ৫০ লক্ষ হলে : সব খরচ সহ ৫৫০০০/-
উথোরাইজ ক্যাপিটাল ১ কোটি হলে : সব খরচ সহ ৬৫০০০ টাকা,

বি:দ্র:  ১ কোটির পরে প্রতি এক কোটির জন্য ১৬ হাজার টাকা করে যুক্ত হবে যেমন- ২ কোটির জন্য ৮১ হাজার

সরকারি ফি কি ভাবে জমা কতে হবে?

ফাইল সাবমিট হবার পরে ব্যাংকে জমা করতে পারবেন অথবা বর্তমান বিকাশ এবং নগদ থেকেও সরকারি ফি জমা করা যায়।

পেমেন্ট সিস্টেম কি ?

কাজের শুরুতে এক টাকাও এডভান্স দিতে হবেনা,  আপনি যাস্ট প্রথমে ইনফর্মেশন গুলো দিবেন আমরা ফাইল রেডি করে ফাইল সাবমিট করবো নামের এপ্রুবাল পাবার পরে আমাদের কাছে ব্যাংক রিসিট আসবে। আপনাকে ব্যাংক রিসিট দিলে নিজের কোম্পানির নামে নিজে হাতে ব্যাংকে ভেরিফাই করে সরকারি ফি জমা করবেন এবং বাকি আমাদের ডিউ পেমেন্ট সব কাজ শেষ হবার পরে দিবেন সব ভেরিফাই করার পরে।

ফাইল কি ভাবে ডেলিভারি নিবো?

কোম্পানির নাম রেজিঃ শেষ হবার পরে ডিজিটাল সার্টিফিকেট আমাদের নিকট আসে আপনি চাইলে সরকারি খিলগাও এসেও ফাইল ডেলিভারি নিতে পারবেন অথবা কুরিয়ার থেকে অথাব অনলাইনে ইমেইল বা whatsapp এর মাধ্যমে।

আপনাদের অফিস ঠিকানা কই?

বি:দ্র: আমরা বর্তমান কোনো ফিজিক্যালি সাপোর্ট দিচ্ছিনা অনেক ব্যস্থ থাকি , এই জন্য আমরা কাজের শুরুতে কোনো এডভান্স পেমেন্ট নিচ্ছিনা যাস্ট আপনার ইনফর্মেশন গুলো আমাদের কাছে শিয়ার করলেই আমরা কাজ শুরু করতে পাবো এবং কাজের পরে পেমেন্ট নিবো , সব ধরনের সরকারি ফি আপনি নিজে জমা করবেন ।

 

বি:দ্র:  কাজ শেষ হবার পরে ফাইল ডেলিভারি নিবার সময়  ফিজিক্যালি দেখা করে সব চেক করে ফাইল ডেলিভারি নিতে পারবেন, খিলগাও তালতলা মার্কেট থেকে।